রাষ্ট্রের সংজ্ঞা ও উপাদান
প্রশ্ন: ‘রাষ্ট্র’ শব্দের আদি উৎস কোন ভাষা থেকে এসেছে?
উত্তর: রাষ্ট্র শব্দের আদি উৎস সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে।
-
প্রশ্ন: আধুনিক রাষ্ট্রের কতটি প্রধান উপাদান আছে?
উত্তর: আধুনিক রাষ্ট্রের চারটি প্রধান উপাদান আছে।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের চারটি উপাদান কী কী?
উত্তর: জনসমষ্টি, ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর: এরিস্টটলকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
-
প্রশ্ন: এরিস্টটল রাষ্ট্রকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন?
উত্তর: এরিস্টটল রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন।
-
প্রশ্ন: জনসংখ্যা রাষ্ট্রের কোন উপাদান?
উত্তর: জনসমষ্টি রাষ্ট্রের সামাজিক উপাদান।
-
প্রশ্ন: ভূখণ্ড রাষ্ট্রের কোন দিক নির্দেশ করে?
উত্তর: ভূখণ্ড রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানা নির্দেশ করে।
-
প্রশ্ন: সরকার রাষ্ট্রের কোন দিক নির্দেশ করে?
উত্তর: সরকার রাষ্ট্রের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক দিক নির্দেশ করে।
-
প্রশ্ন: সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: সার্বভৌমত্ব বলতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত ক্ষমতা বোঝায়।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রবিহীন সমাজের উদাহরণ কোনটি?
উত্তর: উপজাতীয় সমাজ রাষ্ট্রবিহীন সমাজের উদাহরণ।
-
প্রশ্ন: সার্বভৌমত্ব শব্দটির প্রচলন প্রথম কে করেছিলেন?
উত্তর: জ্যাঁ বোডাঁ (Jean Bodin)।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের অপরিহার্য উপাদান কোনটি?
উত্তর: সার্বভৌমত্ব।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের বাহ্যিক সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: অন্য কোনো রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীনতাকে বোঝায়।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: রাষ্ট্রের ভেতরে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকার বোঝায়।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের স্থায়ী জনসংখ্যা থাকা কেন জরুরি?
উত্তর: কারণ রাষ্ট্র নাগরিক ছাড়া গঠিত হতে পারে না।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের সংজ্ঞায় ‘স্থায়ী ভূখণ্ড’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমানা যেখানে রাষ্ট্রের নাগরিকরা বাস করে।
-
প্রশ্ন: সরকার ছাড়া রাষ্ট্র কেমন হবে?
উত্তর: সরকার ছাড়া রাষ্ট্র বিশৃঙ্খল ও অকার্যকর হবে।
-
প্রশ্ন: আধুনিক রাষ্ট্র ধারণা কোন শতকে বিকশিত হয়?
উত্তর: ১৬শ শতকে।
-
প্রশ্ন: রাষ্ট্র ও জাতির মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
উত্তর: রাষ্ট্র রাজনৈতিক সংগঠন আর জাতি আবেগ-সংস্কৃতির ভিত্তিতে গঠিত।
-
প্রশ্ন: জাতিসংঘ সনদ অনুসারে রাষ্ট্র স্বীকৃতির জন্য কতটি শর্ত অপরিহার্য?
উত্তর: চারটি শর্ত — জনসংখ্যা, ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব।
সার্বভৌমত্ব (Sovereignty)
প্রশ্নঃ ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দটির উৎপত্তি কোথা থেকে?
উত্তরঃ ল্যাটিন শব্দ Superanus থেকে।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্ব শব্দটির প্রবর্তক কে?
উত্তরঃ জ্যঁ বোদাঁ (Jean Bodin)।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বের সর্বাধিক প্রচলিত সংজ্ঞা কে দেন?
উত্তরঃ জ্যঁ বোদাঁ।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বকে “আইনের পিছনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা” হিসেবে কে সংজ্ঞায়িত করেন?
উত্তরঃ অস্টিন (John Austin)।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বের “Monistic Theory” কার দ্বারা প্রবর্তিত?
উত্তরঃ জন অস্টিন।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বের “Pluralistic Theory” কার দ্বারা সমর্থিত?
উত্তরঃ হারল্ড জে. লাস্কি (Harold J. Laski)।
প্রশ্নঃ জ্যঁ বোদাঁ সার্বভৌমত্বকে কিসের সাথে যুক্ত করেছিলেন?
উত্তরঃ রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব ও স্থায়ী ক্ষমতার সাথে।
প্রশ্নঃ অস্টিন সার্বভৌমত্বকে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন?
উত্তরঃ সর্বোচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কর্তৃত্ব হিসেবে, যে আদেশ দেয় এবং মান্য করা হয়।
প্রশ্নঃ বহিরাগত সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও অন্য রাষ্ট্রের অধীন না থাকার ক্ষমতা।
প্রশ্নঃ অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্ব বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ রাষ্ট্রের ভেতরে সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ।
প্রশ্নঃ “সার্বভৌমত্ব সর্বাধিক, চূড়ান্ত ও অপরিমেয় ক্ষমতা” – এই উক্তিটি কার?
উত্তরঃ জ্যঁ বোদাঁ।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বের আধুনিক ধারণা কাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল?
উত্তরঃ প্লুরালিস্ট চিন্তাবিদদের দ্বারা।
প্রশ্নঃ আন্তর্জাতিক আইন সার্বভৌমত্বকে কীভাবে দেখে?
উত্তরঃ রাষ্ট্রের সমতার নীতি দ্বারা।
প্রশ্নঃ “সার্বভৌমত্ব অবিভাজ্য” – এই ধারণা কে সমর্থন করেন?
উত্তরঃ অস্টিন ও বোদাঁ।
প্রশ্নঃ “সার্বভৌমত্ব বিভাজ্য” – এই ধারণা কার?
উত্তরঃ প্লুরালিস্ট চিন্তাবিদদের।
প্রশ্নঃ ভারতীয় সংবিধানে সার্বভৌমত্ব কোথায় ঘোষিত হয়েছে?
উত্তরঃ প্রস্তাবনায় (Preamble)।
প্রশ্নঃ ভারতের প্রস্তাবনায় কোন শব্দ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে নির্দেশ করে?
উত্তরঃ “সার্বভৌম” (Sovereign)।
প্রশ্নঃ সার্বভৌমত্বের দুইটি প্রধান দিক কী?
উত্তরঃ অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত।
প্রশ্নঃ “Sovereignty is the supreme power of the state over citizens and subjects unrestrained by law” – উক্তিটি কার?
উত্তরঃ অস্টিন।
প্রশ্নঃ আধুনিক যুগে সার্বভৌমত্ব সীমিত হওয়ার প্রধান কারণ কী?
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রভাব।
নাগরিকত্ব
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত বিধান সংবিধানের কোন অংশে রয়েছে?
উত্তরঃ দ্বিতীয় অংশে (Article 5-11)।
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ কত থেকে কত পর্যন্ত বিস্তৃত?
উত্তরঃ অনুচ্ছেদ 5 থেকে 11 পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত আইন কোন সালে প্রণীত হয়?
উত্তরঃ 1955 সালে।
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব অর্জনের কতগুলি উপায় আছে?
উত্তরঃ 5টি উপায়।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব অর্জনের উপায়গুলো কী কী?
উত্তরঃ জন্ম, বংশ, নিবন্ধন, স্বাভাবিকীকরণ ও ভূখণ্ড সংযুক্তির মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব আইন কে প্রণয়ন করে?
উত্তরঃ সংসদ।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব আইন সর্বশেষ কবে সংশোধন করা হয়েছে?
উত্তরঃ 2019 সালে।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন 2019 অনুযায়ী কোন দেশগুলির নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে?
উত্তরঃ আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন 2019 কোন কোন ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়?
উত্তরঃ হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব সংশোধন আইন 2019 এর আওতায় কোন ধর্ম বাদ পড়েছে?
উত্তরঃ ইসলাম।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব আইন 1955 অনুযায়ী নাগরিকত্ব হারানোর উপায় কয়টি?
উত্তরঃ 3টি (ত্যাগ, বর্জন ও বাতিলকরণ)।
প্রশ্নঃ ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের স্বীকৃতি আছে কি?
উত্তরঃ না।
প্রশ্নঃ ভারতীয় সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বিদেশীদের জন্য সংসদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রয়েছে?
উত্তরঃ অনুচ্ছেদ 11।
প্রশ্নঃ সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিনে কে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন তা কোন অনুচ্ছেদে বলা আছে?
উত্তরঃ অনুচ্ছেদ 5।
প্রশ্নঃ নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য স্বাভাবিকীকরণের শর্ত অনুযায়ী একজন বিদেশিকে ন্যূনতম কত বছর ভারতে বসবাস করতে হবে?
উত্তরঃ 12 বছর।
প্রশ্নঃ ভারতের নাগরিকত্ব অর্জনে জন্মসূত্রে নাগরিক হওয়ার শর্ত কোন সালের আগে ও পরে ভিন্ন হয়?
উত্তরঃ 1 জুলাই 1987 এর আগে ও পরে।
প্রশ্নঃ একজন বিদেশি মেয়ে যদি ভারতীয় নাগরিককে বিয়ে করেন তবে তিনি কোন প্রক্রিয়ায় নাগরিক হতে পারেন?
উত্তরঃ নিবন্ধনের মাধ্যমে।
প্রশ্নঃ সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব আইন সংসদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে?
উত্তরঃ অনুচ্ছেদ 11।
প্রশ্নঃ ভারতের প্রথম নাগরিকত্ব আইন কোন সালে কার্যকর হয়েছিল?
উত্তরঃ 30 ডিসেম্বর 1955 সালে।
প্রশ্নঃ সংবিধানের নাগরিকত্ব সম্পর্কিত অনুচ্ছেদগুলো স্থায়ী না অস্থায়ী প্রকৃতির?
উত্তরঃ অস্থায়ী প্রকৃতির।
অধিকার ও কর্তব্য
ভারতের মৌলিক অধিকার সংবিধানের কোন ভাগে আছে?
👉 সংবিধানের তৃতীয় ভাগে।
ভারতের মৌলিক কর্তব্য সংবিধানের কোন ভাগে আছে?
👉 সংবিধানের চতুর্থ ক (IVA) ভাগে।
ভারতে মৌলিক অধিকার কতটি?
👉 ছয়টি।
প্রথমে ভারতের সংবিধানে কতটি মৌলিক অধিকার ছিল?
👉 সাতটি।
কোন সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকার মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দেওয়া হয়?
👉 ৪৪তম সংশোধনী (১৯৭৮)।
বর্তমানে সম্পত্তির অধিকার কোন ধরণের অধিকার?
👉 আইনি অধিকার (Article 300A)।
ভারতের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে সমতার অধিকার বর্ণিত হয়েছে?
👉 অনুচ্ছেদ ১৪।
অনুচ্ছেদ ২১ কোন অধিকার নিশ্চিত করে?
👉 জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার।
শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকার হিসেবে কোন সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়?
👉 ৮৬তম সংশোধনী (২০০২)।
অনুচ্ছেদ ২১A অনুযায়ী কোন বয়স পর্যন্ত বিনামূল্যে বাধ্যতামূলক শিক্ষা পাওয়া যায়?
👉 ৬ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত।
ভারতের সংবিধানে কতটি মৌলিক কর্তব্য রয়েছে?
👉 এগারোটি।
মৌলিক কর্তব্য কোন সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়?
👉 ৪২তম সংশোধনী (১৯৭৬)।
একাদশ মৌলিক কর্তব্য কোন সংশোধনীতে যোগ হয়?
👉 ৮৬তম সংশোধনী (২০০২)।
ভারতের রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণের সময় কোন সংবিধানের ধারা মেনে চলে?
👉 তৃতীয় তফসিল (Third Schedule)।
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে তারা কোথায় যেতে পারেন?
👉 সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে।
মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য কোন অনুচ্ছেদে সাংবিধানিক প্রতিকার পাওয়া যায়?
👉 অনুচ্ছেদ ৩২।
অনুচ্ছেদ ৩২ কে কোন বিচারপতি ‘সংবিধানের হৃদয় ও আত্মা’ বলেছেন?
👉 ড. বি. আর. আম্বেদকর।
অনুচ্ছেদ ১৯ কোন অধিকার প্রদান করে?
👉 মতপ্রকাশ, সমাবেশ, সংঘ গঠন, চলাফেরা, বসবাস ও পেশা নির্বাচনের স্বাধীনতা।
ভারতের সংবিধানের কোন অংশে ন্যায়পালনযোগ্য অধিকার নেই কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি রয়েছে?
👉 চতুর্থ ভাগে (Directive Principles of State Policy)।
ভারতের নাগরিকদের পরিবেশ রক্ষার কর্তব্য কোন মৌলিক কর্তব্যে উল্লেখ আছে?
👉 ৫১ক (g)।
স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার
প্রশ্ন: স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের আদর্শ ভারতীয় সংবিধানের কোন প্রস্তাবনায় ঘোষিত হয়েছে?
উত্তর: প্রস্তাবনা।
-
প্রশ্ন: স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
-
প্রশ্ন: স্বাধীনতা বলতে সংবিধানের প্রেক্ষিতে কী বোঝায়?
উত্তর: মতপ্রকাশ, বিশ্বাস, ধর্ম, চিন্তা ও উপাসনার স্বাধীনতা।
-
প্রশ্ন: সমতার নীতি ভারতীয় সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে আছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ১৪।
-
প্রশ্ন: ন্যায়বিচার বলতে কোন তিনটি দিক বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার।
-
প্রশ্ন: প্রস্তাবনায় সমতা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: অবস্থান ও সুযোগের সমতা।
-
প্রশ্ন: কোন অনুচ্ছেদে আইন সমক্ষে সমতার অধিকার দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ১৪।
-
প্রশ্ন: স্বাধীনতার অধিকার কোন মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: মৌলিক অধিকার (অনুচ্ছেদ ১৯–২২)।
-
প্রশ্ন: ন্যায়বিচারের ধারণা ভারতীয় সংবিধানে কোথা থেকে গৃহীত?
উত্তর: রুশ বিপ্লবের আদর্শ থেকে।
-
প্রশ্ন: প্রস্তাবনায় উল্লিখিত সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে?
উত্তর: সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ ও সুযোগের সমতা প্রদান।
-
প্রশ্ন: স্বাধীনতা কোন সীমার মধ্যে ভোগ করা যায়?
উত্তর: জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে।
-
প্রশ্ন: ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার কোন অনুচ্ছেদে দেওয়া আছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ২৫ থেকে ২৮।
-
প্রশ্ন: অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার কাকে বলে?
উত্তর: সকলকে জীবিকা ও উন্নতির সমান সুযোগ প্রদান।
-
প্রশ্ন: রাজনৈতিক ন্যায়বিচার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: শাসন ব্যবস্থায় সমান অংশগ্রহণ।
-
প্রশ্ন: সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণ।
-
প্রশ্ন: সমতা নিশ্চিত করতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: অস্পৃশ্যতা বিলোপ (অনুচ্ছেদ ১৭) ও সংরক্ষণ নীতি।
-
প্রশ্ন: স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কোন অনুচ্ছেদে মতপ্রকাশের অধিকার দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ১৯(১)(ক)।
-
প্রশ্ন: ন্যায়বিচারের আদর্শ বাস্তবায়নে রাষ্ট্র কোন নীতির অনুসরণ করে?
উত্তর: রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি।
-
প্রশ্ন: ভারতীয় সংবিধানে "ন্যায়বিচার – সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক" শব্দবন্ধ কোথায় রয়েছে?
উত্তর: প্রস্তাবনায়।
-
প্রশ্ন: প্রস্তাবনায় ঘোষিত স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচারের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: একটি গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।
জাতীয়তা ও দেশপ্রেম
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি কী?
উত্তর: ঐক্যবদ্ধতা ও দেশের প্রতি আনুগত্য।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদ শব্দটি প্রথম কোন ভাষা থেকে এসেছে?
উত্তর: ল্যাটিন ভাষা থেকে।
প্রশ্ন: ‘জাতীয়তা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: এক দেশ, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি ও অভিন্ন স্বার্থের অনুভূতি।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদের মূল চেতনা কী?
উত্তর: দেশের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের মনোভাব।
প্রশ্ন: ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রধান ভিত্তি কী?
উত্তর: সাংস্কৃতিক ঐক্য ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদ কখন শক্তিশালী হয়ে ওঠে?
উত্তর: বিদেশি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন: ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উত্থান কোন সময় থেকে শুরু হয়?
উত্তর: উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে।
প্রশ্ন: জাতীয়তার প্রধান উপাদান কয়টি?
উত্তর: চারটি—ভূখণ্ড, জনসমষ্টি, ঐতিহ্য ও অভিন্ন স্বার্থ।
প্রশ্ন: দেশপ্রেম বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও আত্মবলিদান।
প্রশ্ন: জাতীয় সঙ্গীত আমাদের মধ্যে কী জাগায়?
উত্তর: দেশপ্রেম ও ঐক্যের চেতনা।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদের বিকাশে কোনটি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে?
উত্তর: শিক্ষা ও সংবাদপত্র।
প্রশ্ন: ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের মূল ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর: দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন গানটি রচনা করেন?
উত্তর: জন গণ মন।
প্রশ্ন: দেশপ্রেম জাগ্রত করার জন্য কোন উৎসব গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদ মানুষের মধ্যে কী ধরনের চেতনা আনে?
উত্তর: ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও দেশের কল্যাণের চেতনা।
প্রশ্ন: ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় কবে?
উত্তর: ১৮৮৫ সালে।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদ কাদের বিরুদ্ধে একত্রিত করেছিল ভারতীয়দের?
উত্তর: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন: দেশপ্রেমের অন্যতম নিদর্শন কোন আন্দোলন?
উত্তর: অসহযোগ আন্দোলন।
প্রশ্ন: জাতীয় পতাকা আমাদের কী শেখায়?
উত্তর: ঐক্য, স্বাধীনতা ও অহিংসার আদর্শ।
প্রশ্ন: জাতীয়তাবাদের বিরোধী শক্তি কোনটি?
উত্তর: আঞ্চলিকতা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ।
গণতন্ত্র (Democracy)
প্রশ্ন: ‘Democracy’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?
উত্তর: গ্রিক ভাষা থেকে।
প্রশ্ন: ‘Democracy’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: জনতার শাসন।
প্রশ্ন: আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কাকে বলা হয়?
উত্তর: জন লক।
প্রশ্ন: ভারত কোন ধরনের গণতন্ত্র গ্রহণ করেছে?
উত্তর: প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র।
প্রশ্ন: গণতন্ত্রে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী কে?
উত্তর: জনগণ।
প্রশ্ন: প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের আদর্শ রূপ কোথায় দেখা যায়?
উত্তর: সুইজারল্যান্ডে।
প্রশ্ন: ভারত কোন ধরনের সরকার ব্যবস্থা অনুসরণ করে?
উত্তর: সংসদীয় গণতন্ত্র।
প্রশ্ন: গণতন্ত্রের মৌলিক ভিত্তি কী?
উত্তর: জনসাধারণের মতামত।
প্রশ্ন: “গণতন্ত্র হলো জনগণের সরকার, জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য”— কে বলেছেন?
উত্তর: আব্রাহাম লিঙ্কন।
প্রশ্ন: ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার।
প্রশ্ন: গণতন্ত্রে সরকারের বৈধতা আসে কোথা থেকে?
উত্তর: জনগণের সম্মতি থেকে।
প্রশ্ন: গণতন্ত্রে বিরোধী দলের প্রধান ভূমিকা কী?
উত্তর: সরকারের কার্যকলাপের সমালোচনা ও পর্যবেক্ষণ।
প্রশ্ন: গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার মূল উপাদান কী?
উত্তর: স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধানের ভূমিকা কী?
উত্তর: নাগরিক অধিকার ও সরকারের সীমা নির্ধারণ করা।
প্রশ্ন: ভারতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার তারিখ কবে?
উত্তর: ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০।
প্রশ্ন: গণতন্ত্রের প্রধান অস্ত্র কী?
উত্তর: ভোটাধিকার।
প্রশ্ন: কোন দেশে প্রথমবার সর্বজনীন ভোটাধিকার কার্যকর হয়েছিল?
উত্তর: নিউজিল্যান্ডে।
প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক শাসনে আইনের শাসন মানে কী?
উত্তর: সকলের সমানভাবে আইন মান্য করা।
প্রশ্ন: গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংবাদমাধ্যমকে কী বলা হয়?
উত্তর: চতুর্থ স্তম্ভ।
প্রশ্ন: ভারতীয় গণতন্ত্রে নির্বাচনী কমিশনের ভূমিকা কী?
উত্তর: মুক্ত ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা।
একনায়কতন্ত্র (Dictatorship)
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা কার হাতে থাকে?
উত্তর: এক ব্যক্তির হাতে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে নাগরিকের স্বাধীনতা কেমন থাকে?
উত্তর: সীমিত বা দমন করা হয়।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা কার হাতে থাকে?
উত্তর: শাসকের হাতে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে নির্বাচন কেমন হয়?
উত্তর: সাধারণত ভুয়া বা প্রহসনের মতো হয়।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে বিচার বিভাগের অবস্থা কেমন থাকে?
উত্তর: শাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেমন থাকে?
উত্তর: দমন বা সেন্সরের অধীনে থাকে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা কেমন থাকে?
উত্তর: প্রায় থাকে না বা নিষিদ্ধ থাকে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে সেনাবাহিনীর ভূমিকা কী?
উত্তর: শাসককে সমর্থন করে ও রক্ষা করে।
প্রশ্ন: হিটলার কোন দেশে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: জার্মানি।
প্রশ্ন: মুসোলিনি কোন দেশে একনায়কতন্ত্র চালু করেছিলেন?
উত্তর: ইতালি।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্র কোন ধরণের সরকারের বিপরীত?
উত্তর: গণতন্ত্রের বিপরীত।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে মানুষের মৌলিক অধিকার কেমন থাকে?
উত্তর: সীমিত বা হরণ করা হয়।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রের মূল বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এক ব্যক্তির হাতে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা কেমন হয়?
উত্তর: কম থাকে বা দমন করা হয়।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্র কোন পদ্ধতিতে টিকে থাকে?
উত্তর: ভয়, সেনা ও প্রচারণার মাধ্যমে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কেমন থাকে?
উত্তর: শাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্র সাধারণত কোন পরিস্থিতিতে জন্ম নেয়?
উত্তর: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংকটের সময়।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে সংবিধানের মর্যাদা কেমন থাকে?
উত্তর: শাসকের ইচ্ছার অধীন থাকে।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রের শাসককে সাধারণত কী বলা হয়?
উত্তর: একনায়ক বা ডিক্টেটর।
প্রশ্ন: একনায়কতন্ত্রে শিক্ষা ও সংস্কৃতি কিভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর: শাসকের মতাদর্শ প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ধর্মনিরপেক্ষতা (Secularism)
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি কোন সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হয়?
উত্তর: ৪২তম সংশোধনী (১৯৭৬)।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: রাষ্ট্র সকল ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করবে।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ২৫ থেকে ২৮।
প্রশ্ন: সংবিধানের কোন মৌলিক অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত?
উত্তর: সাংবিধানিক অধিকার – অনুচ্ছেদ ২৫-২৮।
প্রশ্ন: কোন অনুচ্ছেদে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ২৫।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের সরকারি ধর্ম কী?
উত্তর: ভারতের কোনো সরকারি ধর্ম নেই।
প্রশ্ন: কোন অনুচ্ছেদে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ২৬।
প্রশ্ন: কোন অনুচ্ছেদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ২৮।
প্রশ্ন: ভারতের রাষ্ট্রপতি শপথ নেওয়ার সময় কোন নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেন?
উত্তর: ধর্মনিরপেক্ষতা।
প্রশ্ন: ধর্মনিরপেক্ষতার মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: সকল ধর্মের প্রতি সমান সম্মান ও স্বাধীনতা প্রদান।
প্রশ্ন: ভারত কোন ধরনের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র?
উত্তর: ধনাত্মক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
প্রশ্ন: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কোন মামলায় ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ ঘোষণা করে?
উত্তর: কেশবানন্দ ভারতী মামলা (১৯৭৩)।
প্রশ্ন: ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা ভারতের সংবিধানে কোথা থেকে গৃহীত?
উত্তর: পাশ্চাত্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহ থেকে।
প্রশ্ন: ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুযায়ী সরকার ধর্মীয় বিষয়ে কেমন আচরণ করে?
উত্তর: সরকার ধর্ম থেকে পৃথক ও নিরপেক্ষ থাকে।
প্রশ্ন: ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর: রাষ্ট্র সকল ধর্মকে সমান মর্যাদা দেয়।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানের কোন অংশ ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি তৈরি করে?
উত্তর: মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি।
প্রশ্ন: ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি ভঙ্গ হলে কোন আদালতে মামলা দায়ের করা যায়?
উত্তর: সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টে।
প্রশ্ন: সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সমানাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ১৪ ও ১৫।
প্রশ্ন: ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা কার্যকর করার প্রধান হাতিয়ার কী?
উত্তর: সংবিধানের মৌলিক অধিকার।
প্রশ্ন: ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি কাদের জন্য প্রযোজ্য?
উত্তর: সকল নাগরিক ও সকল ধর্মের জন্য সমানভাবে।
মৌলিক রাজনৈতিক ধারণা
প্রশ্ন: স্বাধীনতা (Liberty) শব্দটির উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
উত্তর: ল্যাটিন ভাষা থেকে।
প্রশ্ন: ‘স্বাধীনতা হল সুযোগের অনুপস্থিতি নয় বরং বাধাহীন কর্ম’ — কে বলেছেন?
উত্তর: জন স্টুয়ার্ট মিল।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক স্বাধীনতার প্রধান উপাদান কী?
উত্তর: ভোটাধিকার।
প্রশ্ন: প্রাকৃতিক অধিকার (Natural Rights) ধারণার প্রবক্তা কে?
উত্তর: জন লক।
প্রশ্ন: মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) ভারতের সংবিধানে কোন অংশে আছে?
উত্তর: তৃতীয় অংশে।
প্রশ্ন: কর্তব্য (Duties) সংবিধানে কোন সংশোধনী দ্বারা যুক্ত হয়?
উত্তর: ৪২তম সংশোধনী (১৯৭৬)।
প্রশ্ন: ন্যায় (Justice)-এর চার ভাগ কে নির্দিষ্ট করেছিলেন?
উত্তর: অ্যারিস্টটল।
প্রশ্ন: সামাজিক ন্যায় (Social Justice) কথাটি ভারতের সংবিধানের কোথায় উল্লেখ আছে?
উত্তর: প্রস্তাবনায়।
প্রশ্ন: ‘আইন হল শাসকের আদেশ’ — কে বলেছেন?
উত্তর: অস্টিন।
প্রশ্ন: Rule of Law ধারণাটি কে জনপ্রিয় করেন?
উত্তর: এ. ভি. ডাইসি।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধানে আইন শাসন (Rule of Law) কোন আর্টিকেলে নিহিত?
উত্তর: অনুচ্ছেদ ১৪।
প্রশ্ন: ‘Power tends to corrupt and absolute power corrupts absolutely’ — উক্তিটি কার?
উত্তর: লর্ড অ্যাকটন।
প্রশ্ন: ক্ষমতার বিভাজন তত্ত্ব (Theory of Separation of Powers) কার দ্বারা প্রদত্ত?
উত্তর: মন্টেস্কিউ।
প্রশ্ন: ভারতের সংবিধান কোন দেশের মডেল অনুসারে ক্ষমতার বিভাজন করেছে?
উত্তর: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র।
প্রশ্ন: কর্তৃত্ব (Authority)-এর বৈধতার উৎস কী?
উত্তর: আইন ও জনসমর্থন।
প্রশ্ন: বৈধ কর্তৃত্বের তিন প্রকার কে বলেছেন?
উত্তর: ম্যাক্স ওয়েবার।
প্রশ্ন: রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতার মূল উপাদান কী?
উত্তর: সার্বভৌমত্ব।
প্রশ্ন: ভারতের নাগরিকদের মৌলিক কর্তব্যের সংখ্যা কত?
উত্তর: ১১টি।
প্রশ্ন: ‘ন্যায়ই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি’ — কে বলেছেন?
উত্তর: প্লেটো।
প্রশ্ন: ‘আইন ছাড়া স্বাধীনতা কেবল বিশৃঙ্খলা’ — কে বলেছেন?
উত্তর: লক।